কোভিড-১৯: আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়াল ভারত
বিশ্বব্যাপী তিন লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় চীন ও পেরুকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত
শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে ৮৫ হাজার ৯৪০ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ১১তম স্থানে উঠে এলেও ভারতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সংক্রমণের হার খানিকটা কমতে দেখা যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সংক্রমণ মোকাবেলায় দেয়া লকডাউনে পর্যদুস্ত অর্থনীতি পুনরায় সচলে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীরা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানালেও কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও ভারতে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর পরিমাণ অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসে দুই হাজার ৭৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আক্রান্তদের বেশিরভাগই হয় উপসর্গবিহীন, নয় তো হালকা উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কম বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই দেশজুড়ে লকডাউন দিয়ে দেয়াও এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, বলছেন পর্যবেক্ষকরা।
আক্রান্তের সংখ্যায় একদিনেই যে দুটি দেশকে টপকেছে ভারত, তাদের মধ্যে চীনে শনিবার পর্যন্ত শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ জনের।
পেরুতে আক্রান্ত-মৃত্যুর অনুপাত অনেকটা ভারতের মতোই। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত জ্ঞাত আক্রান্ত ৮৪ হাজার ৪৯৫, মৃত্যু দুই হাজার ৩৯২।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দেশটিতে সংক্রমণ হার কমার লক্ষণে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
লকডাউনের আগে প্রতি সাড়ে তিনদিনে আক্রান্ত দ্বিগুণ হলেও, এখন সেটি ১১ দিনে পৌঁছেছে, বলেছেন তিনি।
“লকডাউনের কারণে পরিস্থিতির সুস্পষ্ট উন্নতি দেখা যাচ্ছে। লকডাউনের এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত, তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে শনাক্ত, আইসোলেশন ও আক্রান্ত শনাক্তে ব্যবস্থাপনার উন্নতিসহ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা গেছে,” বলেছেন হর্ষ বর্ধন।
ভারতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই মিলেছে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে। তামিল নাডু, গুজরাট ও দিল্লিতেও ব্যাপক সংখ্যক মানুষের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।