কোভিড: এক দিনে ২৫৭ শনাক্ত, মৃত্যু ৩ জনের
দেশে গত এক দিনে আরও ২৫৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে আক্রান্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৯ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৪১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
সরকারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন আরও ১৮১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ১১৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গত এক দিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের ২০২ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭৮ শতাংশের বেশি।
যে ৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশের বাকী পাঁচটি বিভাগে একদিনে কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হার ১ দশমিক ০২ শতাংশ, যা আগেরদিন ১ দশমিক ০৫ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৭ কোটি ২৩ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে ২৫ হাজার ২০৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ১৮ হাজার ৪৬১টি নমুনা।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী। তাদের মধ্যে ১ জনের বয়স ছিল ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং ২ জনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের মধ্যে ৩ জনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।