কোভিড: এক দিনে শনাক্ত ২৮৯, মৃত্যু ৫ জনের
দেশে গত এক দিনে আরও ২৮৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮১ জনে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৮২৮ জন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২১০ জনই ঢাকা জেলার, যা সারা দেশের মোট শনাক্তের তিন চতুর্থাংশ। আর যারা মারা গেছেন, তাদের দুজন ঢাকার, দুজন চট্টগ্রামের এবং একজন খুলনার বাসিন্দা ছিলেন।
আগের দিন রোববার দেশে দেশে ২৭৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। সে হিসেবে মৃত্যু কমলেও শনাক্ত কিছুটা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৪১৩ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৪০ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৪ কোটি ৩৬ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২০ হাজার ৭৭৩ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৪২ হাজার ৯২৩টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা আগেরদিন ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২ জন এবং খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
তাদের মধ্যে ৫ জন সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।