কোভিড: এক দিনে শনাক্ত রোগী বেড়ে ৩৮২
দেশে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে; সেই সঙ্গে বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্ত রোগীর হার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৮২ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
বুধবার দেশে ৩৫২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের। সেই হিসাবে নতুন রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু দুটোই বেড়েছে গত এক দিনে।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৬৮ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১২ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৪ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৯ হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪১টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৩৫ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা যা মোট আক্রান্তের ৮৭ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৩২টি জেলায় কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হননি।
ষাটোর্ধ্ব যে পুরুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
যে দুজন মারা গেছেন, তারা ছিলেন খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। দেশের বাকি ছয় বিভাগে গত একদিনে কোভিডে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৭ কোটি ৭১ লাখের বেশি রোগী।