কোনো অজুহাতে ব্যাংক কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত না করার নির্দেশ
ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর এবার লক্ষ্য অর্জন না করার অজুহাত তুলে তাদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলে নির্দেশণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি দেশের সবকটি তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশণায় বলা হয়েছে, শুধুমাত্র নির্ধারিত লক্ষ্য অজর্ন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে ব্যাংক-কোম্পানির কর্মকর্তাদেরকে প্রাপ্য পদোন্নতি হতে বঞ্চিত করা যাবে না। একই অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।
এসব বিষয়াবলী সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ না করে কোনো কোনো পর্যায় থেকে খন্ডিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা প্রদান করায় ব্যাংক কর্তৃক উক্ত সার্কুলারের নির্দেশনা পরিপালনে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, যা কাম্য নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলারের নির্দেশনা স্পষ্টীকরণের জন্য জানায়, অদক্ষতার কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বা অদক্ষদের পদোন্নতি দিতে হবে এ ধরনের নির্দেশনা উপরোক্ত অনুচ্ছেদে বা সার্কুলারের কোথাও বলা হয়নি। সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের নিজ নিজ নীতিমালা বা বিধিমালা অনুসরণ করে প্রশাসনিক কার্যক্রমে কোনো বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ একটি নির্দেশনা জারি করে দেশের বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের চাকরির শুরুর বেতন ভাতার কাঠামো নির্ধারণ করে দেয়। তাতে অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা তা যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা।
শিক্ষানবিশকাল শেষে এ ধরনের ব্যাংক কর্মকর্তাদের শুরুর মূল বেতনসহ ন্যূনতম মোট বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা। একই সঙ্গে কর্মচারীদের বেতন ২৪ হাজার টাকার নির্ধারন করে দেয়। পাশাপাশি নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে বা অদক্ষতার অজুহাতে কোনো ব্যাংকারকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। ওই নির্দেশনার সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ না করে কোনো কোনো পর্যায় থেকে খণ্ডিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণেই আজ (মঙ্গলবার) নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।