কোথাও তাপদাহ, কোথাও ঝড়ো হাওয়ার আভাস
বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনে রাজধানীর বাইরে তাপদাহ ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস বলেছে, রাঙ্গামাটি ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তার বিস্তার ঘটবে আরও। গ্রীষ্মের শুরুতে স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।
মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার রাঙ্গামাটিতে দেশের সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সিলেটে ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এরমধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও উঠেছিল।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, বৈশাখের প্রথম দিন আবহাওয়া বেশ গরম থাকবে, এই সময়ে সেটাই স্বাভাবিক।
গ্রীষ্মের শুরুতেই একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) বয়ে যেতে পারে দেশের কোথাও কোথাও। ১৭ এপ্রিলের পরে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি বুলেটিনে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত তিন থেকে চার দিন বজ্রসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী এবং দেশের অন্যত্র চার থেকে পাঁচ দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী হতে পারে।
এ মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং অন্যত্র এক থেকে দুটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ এর চেয়ে বেশি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বাঙালির নববর্ষ এবার রঙ হারিয়েছে। বাইরে বের না হয়ে সবাইকে বলা হয়েছে ঘরে থেকে পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার রমনা বটমূলে তাই বৈশাখ আবাহনের আয়োজন ছিল না; চারুকলা থেকে বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রাও বের হয় নি।