কেসিসির নবনির্বাচিত মেয়র কাউন্সিলরদের চলার পথ সহজ ও সম্মানের হোক
গত ৩ জুলাই, ২০২৩ খ্রি. তারিখ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরগণ শপথ গ্রহণ করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মধ্যমনি হয়ে উপস্থিত ছিলেন। শপথ পাঠ করানোর পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনকল্যাণ নিশ্চিত করে আপনাদেরকে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যে দলেরই হোন না কেন, দলমত নির্বিশেষে আপনাদেরকে সবার জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভোট দিয়েছে আপনাদেরকে তা পূরণ করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের কঠোর পরিশ্রমের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা কেসিসির নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদেরকে অভিনন্দন জানাই। আগামী ১০ অক্টোবর হতে আপনারা নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজ শুরু করবেন। কামনা করি আপনাদের চলার পথ সহজ হোক। সাফল্যের হোক। সম্মানের হোক।
আমাদের পক্ষ হতে, এই শুভক্ষণে, আমরা দীপ্তকন্ঠে বলতে চাই, আমরা আপনাদের প্রত্যেকের গঠনমূলক কাজের সাথে আছি। প্রসঙ্গত বলা দরকার, মেয়রসহ কর্পোরেশনের ৩১ জন কাউন্সিলর, সবাই নির্বাচনের আগে তাঁদের স্ব স্ব এলাকার ভোটারদের কাছে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অঙ্গিকার করেছিলেন, জয়লাভ করলে তিনি তার নির্বাচকমণ্ডলীর জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট কাজ করবেন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের সময় জনগনের কাছে তাঁদের বিলিকৃত ইশতেহারটি নিয়ে এখনই বিচারবিশ্লেষণে বসার প্রকৃষ্ট সময়। এখনই একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে নেওয়া যেতে পারে।
একটি জুৎসই, সিস্টেমেটিক কর্মপরিকল্পনার প্রথমে থাকতে হবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আপনাদের কাজসমূহকে ভাগ করে নেয়া। অত:পর, প্রয়োজনীয় রিসোর্স চিহ্নিত করা, টাইমফ্রেমে কাজগুলিকে ভাগ করা ও কর্মিদল গঠন করা। সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সুতরাং, আমরা মনে করি, প্রতিটি নির্বাচিত প্রতিনিধির একটা টার্গেট থাকলে ভাল হবে। তাঁর কাজ করতে সুবিধে হবে। তিনি মনিটরিং করে বুঝতে পারবেন সবকিছু ঠিকঠাক মত যাচ্ছে কী না, কোথায় কোথায় তাঁকে ইনপুট দিতে হবে। ইত্যাদি।
একটা গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হলো, এলাকার গণমানুষকে ইশতেহারে বিবৃত জনকল্যাণমূলক কাজসমূহে সম্পৃক্ত করা। সাধারণ মানুষ যখন যে কোনো সমস্যায় ঝাপিয়ে পড়ে তখন তার সমাধান সহজ হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পর্যায়ক্রমে তাঁদের এলাকার মানুষকে নিয়ে সভা করে শুনতে পারেন তারা কী ভাবছেন, কোন কাজ টা কীভাবে সহজে সমাধান করা যাবে ইত্যাদি। সত্যি কথা বলতে কি, জনগণের মধ্যে থাকে এক সুপ্ত শক্তি, যা আবিস্কার করা একজন জনপ্রতিনিধির কর্মপরিকল্পনার অংশ। তাঁদের সুপ্ত সৃজনশীলতা অনেকসময় অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সূত্র বাতলে দিতে পারে, রিসোর্স তখন কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সবশেষে দক্ষিণাঞ্চল পরিবারের পক্ষ হতে আপনাদেরকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা। আপনাদের চলার পথ সহজ ও সম্মানের হোক।