কেসিসি’কে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রত্যয় সিটি মেয়রের
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দুর্নীতির অপর নাম ধ্বংস বা ক্ষতি সাধন। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এর কুফলও সুদূরপ্রসারী। প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, সীমাহীন লোভ এবং নৈতিক মূল্যবোধের অভাবে মানুষ দ্রæত দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
সিটি মেয়র গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন উপলক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার ২০২১-২০২২ এর ৩.৫ ধরায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালনের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আজকের এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ২০১২ সালে প্রণীত এ কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো সরকার নিয়ন্ত্রিত সকল প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট নীতিসমূহের চর্চাকে অব্যাহত রাখা এবং তাদের সার্বিক কর্মকান্ডে দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
কেসিসি’কে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সিটি মেয়র আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রচেষ্টার সাথে সকলকে শামিল হয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি কেসিসি পরিবারের সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নীতি ও নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
কেসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: নাজিবুল আলম-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মেয়র প্যানেলের সদস্য মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু। অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন শেখ, বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার এম এম হাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মীউল ইসলাম, ভেটেরিনারী অফিসার ডা. মোঃ রেজাউল করিম, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. পেরু গোপাল বিশ্বাস, রাজস্ব অফিসার মোঃ অহিদুজ্জামান খান, কঞ্জারভেন্সী অফিসার প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান, বাজার সুপার মোঃ সেলিমুর রহমান, এস্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার, কালেক্টর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দী, সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার ফারুক হোসেন তালুকদার, সহকারী কঞ্জারভেন্সী অফিসার নূরুন্নাহার এ্যানী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সঞ্চালনা করেন পাবলিক হলের সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আব্দুর রহিম। কেসিসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।