November 25, 2024
আঞ্চলিক

কেশবপুরে মাটি চাপা দেওয়া নবজাতকের লাশ উত্তোলন

 

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

কেশবপুরে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফসল অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতকের লাশ মাটিতে পুতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে বিল্লাল (৪৫) নামে নরপশুর বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় মামলা করেছে। চুরির ভয়ে পুতে রাখা নবজাতকের লাশের পাশে পুলিশ পাহারা বসিয়ে ছিল। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ এনামুল হকের উপস্থিতে উক্ত নব জাতকের মাটি চাপা দেওয়া লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

কেশবপুর থানায় মামলা ও সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার সন্যাসগাছা গ্রামের আবু সাঈদের মেয়ে সুহানা খাতুন (১৬) ছোটবেলা থেকেই তার মামা উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় মিন্টু সরদারে বাড়ীতে থেকে লেখা-পড়া করে আসছে। সে বর্তমানে নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিবেশী খালেক সরদারের ছেলে বিল্লাল প্রায় মিন্টুর বাড়ীতে আসা-যাওয়ার সুবাদে সুহানার সাথে তার পরিচয় হয়। সুহানা বিল্লালকে নানাভাই বলে ডাকত। লম্পট বিল্লাল সুহানাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবৈধ মেলামেসা করত। এক পর্যায়ে সে ৬/৭ মাসের গর্ভবতি হয়ে পড়ে। বিয়টি সে বিল্লালকে জানালে গত ২৪ জুন সে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ তাকে খেতে বাধ্য করে।

মামা-মামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে পরের দিন ২৫ জুন সু-চতুর বিল্লাল নিজে বাড়ীতে এসে বাতরুমের মধ্যে সুহানার পেটের বাচ্চা অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায়। অবৈধ গর্ভপাতের ফসল নবজাতকের লাশটি প্রথমে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। ঘটনা জানাজানি হলে পরে পুকুর থেকে ঐ লাশটি তুলে কবরস্থানে পুতে রাখে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি মহল ব্যাপক চেষ্টা চালায়।

খবর পেয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠায়। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন জানান, ধর্ষন ও অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ এনে বিল্লালের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মামা মিন্টু মামলা দায়ের করেছে। যার নংÑ১৬। তারিখ ২৬-০৬-১০ ইং। চুরির আশংকায় উক্ত নবজাতকের লাশের পাশে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে আদালতের আদেশে শনিবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ এনামুল হকের উপস্থিতিতে মাটিতে পুতে রাখা নবজাতকের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *