কেশবপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাবার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুরের মূলগ্রামের এক সংখ্যালঘু পরিবারের বসতবাড়ির জমি ওই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল গনি নামের এক ব্যক্তি জবর দখল করে নিয়েছে। ওই জমি ফিরে পাবার দাবিতে সোমবার দুুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই গ্রামের সাধন কুমার বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি জানান, মূলগ্রাম মৌজার ৯০৫ খতিয়ানের ৮৫০ দাগের ২ শতক জমি তিনি ও তার ওয়ারেশগণ পৈত্রিক সূত্রে ভোগ দখল করে আসছেন। গত ৬ মাস আগে তার প্রতিবেশী মৃত মোহাম্মাদ আলী খানের ছেলে আব্দুল গনি খান ও তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাবলু, আব্দুল খালেক ওই ২ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে রান্নাঘর, পাকা সিড়ি নির্মাণ শুরু করে।
এ সময় বাধা প্রদান করলে তারা সাধন বিশ্বাসের পরিবারকে মারপিট ভয়ভীতি, হুমকি ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে তার অভিযোগ। এরপরও তার পরিবারকে হয়রানি করতে আব্দুর রাজ্জাক বাবলু বাদি হয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিসেট্রট আমলী আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা করে। যার নং- পি- মামলা নং- ৯১৮/১৯। এরই ভিত্তিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই বিরোধীয় জমির ওপর থানার এসআই কামরুজ্জামান নোটিশ জারি করেন এবং ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তাদেরকে থানায় হাজির হওয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়ে আসেন। ফলে ওই জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সাধন বিশ্বাস পৈত্রিক ওই জমিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, আব্দুল গনি খানের ওই জমির কোন কাগজপত্র না থাকা সত্তে¡ও তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু হওয়ায় সম্পূর্ণ প্রভাব খাটিয়ে তার পৈত্রিক জমি দখল করে নিয়েছে। বর্তমান তারা হুমকি দিচ্ছে, সাধন বিশ্বাস যদি জমির দখল নেয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাকে এ দেশ থেকে তাড়িয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় গনি খানের জবর দখলে থাকা পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাবার দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুলাল বিশ্বাস, সুধীর বিশ্বাস, অশোক বিশ্বাস, অরুন বিশ্বাস, গনেশ বিশ্বাস প্রমুখ।
এ ব্যাপারে ভারতে পাঠানোর হুমকি ধামকির কথা অস্বীকার করে আব্দুল গনি খান বলেন, সাধন বিশ্বাস আমার প্রতিবেশী এবং তার জমির সীমানা আমার জমির সাথে হওয়ায় ১ লাখ টাকার বিনিময়ে তার কাছ থেকে আমি ওই ২ শতক জমি খরিদ করি। কিন্তু এখনও রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। তবে সাধনের কথামত আমি জমিতে রান্নাঘর ও সিড়ি নির্মাণ করেছি।