কেশবপুরে পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার ৭২ নং আলতাপোল মৌজা, ৮৪ নং বসুন্দিয়া মৌজা ও ৮৫ নং মঙ্গলকোট মৌজায় পাশ দিয়ে প্রবাহিত বুড়িভদ্র নদী পুনঃখননের সময় সাভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে নদীর ৬৬ ফুট প্রস্থ বাদেও ঐ এলাকাবাসির রেকর্ড ভুক্ত সম্পত্তি ২০ ফুট গ্রহণ করে। জনগণ চাষাবাদের স্বার্থে স্বতঃস্ফুর্ত হয়ে তাদের আবাদকৃত জমি ২০ ফুট করে ছেড়ে দেয়। খনন কাজের সময় ঠিকাদার ও তাদের লোকজন গাড়ী চলাললের জন্য ২০ ফুট করে বকচর তৈরী করে এবং নদী খনন করে ৬০/৭০ ফুট জমিতে নদী খননের মাটি রাখে। যা পারে সরিয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে।
৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ ব্যাক্তি মালিকাধীন সম্পত্তি হতে মাটি না সরিয়ে নেওয়ায় সম্পত্তির মালিকরা মাটি সমান করে উক্ত সম্পত্তিতে শিম, কপি, বেগুন, পানের বরজ-সহ বিভিন্ন প্রকার সব্জির চাষ করে জিবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু গত ২১ আগস্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী-সহ ৪০/৫০ জন লোক স্কেভেটর নিয়ে বিনা নোটিশে কৃষকদের আবাদকৃত জমির ফসলাদি নষ্ট করে গাছ লাগানোর চেষ্টা করে। যার ফলে কৃষকদের আবাদকৃত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তোভেগি এলাকাবাসি পানি উন্নয়ন বোর্ডে দরখাস্ত করেও কোন প্রতিকার পায়নি। পুনরায় পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও লোকজন নিয়ে কৃষকদের আবাদকৃত ফসলের ক্ষতি করে গাছ লাগানোর পায়তারা চালাচ্ছে। যার ফলে ঐ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসির পক্ষে আলতাপোল গ্রামের মৃত দিলীপ কুমার ঘোষের পূত্র মিহির চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে গত ২৮ আগস্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার নং পি-৯০১/১৯। বিজ্ঞ আদালত উক্ত সম্পত্তিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন-কে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।