কেশবপুরে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার পরিদর্শক ফারুক হোসেন জাকারিয়াকে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যে বলা হয়েছে। ২০০৪ সালে উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের আব্দুল করিম গাজীর ছেলে ও কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার পরিদর্শক ফারুক হোসেন জাকারিয়ার সাথে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে রুবিনা পারভিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে আপণ শালীকা হাসনা হেনার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায় সে শালিকাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা শহরের বিনেরপোতা ঋশিল্পী এলাকার বিমল সরকারের ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এরই জের ধরে জাকারিয়া তার স্ত্রী রুবিনা পারভিনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় গত ৪ জুলাই মেয়ের পিতা অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তে কম্পিউটার পরিদর্শক ফারুক হোসেন জাকারিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগে ফারুক হোসেন জাকারিয়াকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।