কেরালায় ভূমিধসে চা শ্রমিকদের প্রাণহানি বেড়ে ৪৩
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরালার একটি চা বাগানে টানা ভারী বৃষ্টির ফলে ভূমিধসে চা শ্রমিকদের প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। শনিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। বিরুপ আবহাওয়ার কারণে বন্ধে রয়েছে উদ্ধার অভিযান। খবর রয়টার্সের।
প্রাদেশিক সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখনও প্রায় দুই ডজন মানুষ মাটি ও আবর্জনার নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে কেরালার ইদ্দুকি জেলায় যখন ভয়াবহ ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে তখন শতাধিক শ্রমিক সেখানে ঘুমাচ্ছিলেন।
ইদ্দুকির ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর এইচ দিনেশান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘বিরুপ আবহাওয়ার কারণে আমরা আজকের দিনের জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত রেখেছি। শেষ ব্যক্তিটির মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পযর্যন্ত আমাদের উদ্ধার অভিযান চলবে’। মাটি-ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও ২৩ জন আটকা রয়েছেন বলে শঙ্কা।
ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর দিনেশান শনিবার পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর জানিয়ে বলেছিলেন, ‘জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে বিরুপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে কোনো হেলিকপ্টার যুক্ত করা সম্ভব হয়নি।’
ইদ্দুকি জেলায় রেড অ্যালার্ট ও কেরালার বেশ কিছু জেলায় ভূমিধস সতর্কতা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অধিদফতর। ইদুক্কির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস সুরেশকুমার বলেন, ‘তিন দিন ধরে সেখানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার ভোররাতে ভূমিধসের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাই চা শ্রমিক।
কেরালার প্রাদেশিক রাজধানী থিরুভানাথাপুরাম থেকে আনুমানিক ২৪০ কিলোমিটার উত্তরে ইদুক্কি জেলার অবস্থান। ২০১৮ সালে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে কেরালা। তাতে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই সময় বন্যা ও ভূমিধসে মারাত্মকভাবে বিপর্যসন্ত জেলাগুলোর মধ্যে একটি ছিল ইদুক্কি।