কেনিয়ার হোটেলে হামলায় বিদেশি পর্যটকসহ নিহত ১৪
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি বিলাসবহুল হোটেল ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে জঙ্গি হামলায় অন্তত ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার। গতকাল বুধবার কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনইয়াত্তা বলেছেন, নাইরোবি হোটেল কমপ্লেক্সে হামলাকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। এতে করে ১৯ ঘণ্টা জিম্মিদশার অবসান হলো।
জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তৃতায় উহুরু কেনইয়াত্তা বলেছেন, হামলায় ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব জড়িত। হোটেল থেকে অন্তত ৭০০ ব্যাক্তিকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার পর অন্তত চার জন বন্দুকধারী অভিজাত ওই হোটেল কমপ্লেক্সটিতে হামলা শুরু করে। প্রথমে পার্কিং এলাকায় একটি বিস্ফোরণ ঘটে এরপরই হোটেলের হলরুমটিতে একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরিত হয়। হতাহতদের অনেক হোটেলের ‘সিক্রেট গার্ডেন’ রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন এবং তাদের অনেকের দেহই খাবারের টেবিলের নিচে পড়ে ছিল।
মর্গের কর্মীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১১ জন কেনীয়, একজন মার্কিন ও একজন ব্রিটেনের নাগরিক। নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমালি জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এলজি ইলেকট্রনিক্সের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিরাম মাচেরিয়া জানিয়েছেন, হামলা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে ও তার কয়েকজন সহকর্মীকে তাদের অফিস থেকে উদ্ধার করে। পরে তিনি জানাতে পারেন তার এক সহকর্মী মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাতে কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেড মাতিয়াঙ্গি ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ আছে বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু রাতে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ তার ওই দাবিকে প্রমাণ করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তার এ ঘোষণায় ভিতরে আটকা পড়াদের উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থাটি।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ডুসিটডিটু হোটেল কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান সমাপ্ত। সন্ত্রাসীদের সবাই নিহত হয়েছেন। আমরা ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। আরও অনেকে আহত হয়েছেন।’ এর আগে ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল।