কুয়েটে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ওয়েস্টসেফ-২০১৯ “সিক্সথ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইন্টিগ্রেটেড সলিড ওয়েস্ট এন্ড ফিক্যাল ¯øাজ ম্যানেজমেন্ট ইন সাউথ-এশিয়ান কানট্রিস” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।
এসময় তিঁনি বলেন, “মানব বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব, তাহলে এটি কোন বোঝা হবে না বরং তা আমাদের উপকার করবে। ওয়েস্ট এন্ড ফিক্যাল ¯øাজ ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি একটি শহরের উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন সে কাজটিউ করছে”।
ওয়েস্টসেফ ২০১৯ এর চেয়ার কুয়েটের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন। তিঁনি বলেন, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই কনফারেন্স আশার আলো জ্বালিয়েছে। কনফারেন্সে উপস্থাপিত প্রস্তাবনা কাজে লাগাতে পারলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে।
চিফ প্যাট্রোন হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকটিং ভাইস-চ্যান্সেলর ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী। সম্মেলনের সহযোগী আয়োজক হিসেবে বক্তৃতা করেন জার্মানীর বা’হস ইউনিভার্সিটি ওয়েমার এর প্রফেসর ইকার্ড ক্রাফট, স্ট্রাটেজিক পার্টনারস হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশ এর মেহেরাব উল গণি, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এর ড. মোঃ লিয়াকত আলী, থীম পেপার প্রেজেন্টেশন করেন ইটালির ইউনিভার্সিটি অব প্যাডোভা এর প্রফেসর রাফায়েলো কসু, এসময় বিশেষ অতিথি এসএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর জেসন মিটকেল বিলাংগার এর লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়।
২৩ এবং ২৪ ফেব্রæয়ারি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ১২টি প্যারালাল টেকনিক্যাল সেশন, ৩টি কী-নোট সেশন। সম্মেলনে মোট ৩টি কী-নোট পেপার, ১টি থীম পেপার ও ৭৭টি কারিগরী পেপার উপস্থাপিত হবে এবং সেরা ৩টি পেপারকে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বেষ্ট পেপার এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। ২ দিন ব্যাপী ওয়েস্টসেফ-২০১৯ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জার্মানী, ইটালী, নেপাল, ভারত ও জিম্বাবুয়ের ৪৫ জনসহ ২০০ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, গবেষক, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও নীতিনির্ধারকগণ উপস্থিত রয়েছেন।