কুয়েটে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ বরণ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ “শুভ নববর্ষ” উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে রকমারী আয়োজনে সাজানো বৈশাখী মেলা।
বৈশাখী মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের অংশগ্রহণে খাঁটি দেশীয় খড়মাটির কুঠি বানিয়ে দেশীয় ঐতিহ্যের পান্তা-মরিচ ভাজি, গ্রাম বাংলার ষড়ঋতুর আকর্ষনীয় বিভিন্ন আয়োজন, দেশীয় পিঠা তৈরী ও প্রদর্শনীসহ নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন।
খেলার মাঠে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ষবরণ সংগীতানুষ্ঠান “গানে গানে বর্ষবরণ”। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢোল, বাঁশি, একতারা, দো-তারা, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, দেশীয় সংস্কৃতির ছবি সম্বলিত বিভিন প্ল¬াকার্ড, ফেস্টুন, মুখোশসহ আরও অনেক আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালযের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ফুলবাড়ীগেট, খুলনা-যশোর মহাসড়কসহ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে খেলার মাঠে এসে সমাপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক) ও উন্মেষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কুয়েটের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন । সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সাপ খেলা, বানর খেলা, লাঠি খেলা, নাগর দোলা, মোরগের লড়াই, ছাত্রদের অংশগ্রহণে মোরগ লড়াই ও ঘুড়ি উৎসব। এছাড়া, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় দেশের গান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত থেকে আকর্ষনীয় এ সব প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
শিক্ষক সমিতি দেশীয় খাবার পরিবেশনসহ বিভিন্ন জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান ও পারিবারিক মিলন মেলার আয়োজন করে। অফিসার্স এসোসিয়েশন কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশীয় খাবারের আয়োজন করে।