কুষ্টিয়ায় পৃথক মামলায় একজনের ফাঁসি, তিনজনের যাবজ্জীবন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা নারী শ্রমিক হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি এবং দৌলতপুর থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল টিকটিকিপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম ওরফে রবি ঘরামী (৬২)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার আতারপাড়া গ্রামের চান্দু খাঁর ছেলে মোকা খাঁ, আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদার এবং আজিজুল ইসলামের ছেলে আবু সুফিয়ান ওরফে পাতলা।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল টিকটিকিপাড়ার নারী শ্রমিক শাপলা নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরদিন দুপুর দেড়টায় পার্শ্ববর্তী লিচু বাগান থেকে শাপলার মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মৃত শাপলার মা ইটভাটা শ্রমিক শাহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে রবি ঘরামীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতের চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘদিন বিচার কার্য শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন। রায়ে আসামি রবি ঘরামীকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেন আদালত।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৪৭-বিজিবির টহল দল ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল পাচারকালে তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে পাচারকারিরা ফেনসিডিল ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলসহ বিজিবির হাবিলদার তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে তিনজন আসামির নাম পরিচয়সহ সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতের চার্জশিট দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত ওই তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।