কুমিল্লায় একদিনে চিকিৎসকসহ ১২ জন করোনায় আক্রান্ত
কুমিল্লায় নতুন করে আরও ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার সকালে এ সংখ্যা ছিল দুজন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন।
ওই চিকিৎসক জেলার চান্দিনা উপজেলার জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। বুধবার সকাল এবং সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দাউদকান্দিতে তিনজন, চান্দিনায় তিনজন, তিতাসে দুজন, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং ও হোমনায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ জনে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।
সিভিল সার্জন বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে করোনা উপসর্গ থাকা সন্দেহভাজন ২১৮ জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৪৬ জনের রিপোর্ট এসেছে। বুধবার দু’দফায় মোট ১২ জনের পজেটিভ ফলাফল এসেছে। এ নিয়ে জেলায় ২৮ জনের ফলাফল পজেটিভ এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন চার হাজার ৩৩৯ জন। ইতোমধ্যে তিন হাজার ৩২৩ জন কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে এক হাজার ১৭ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
বুধবারের ফলাফলে নতুন আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জফেরত একজন ১৫ বছরের কিশোর অপরজন ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। কিশোরের বাড়ি তিতাস উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে। অন্যজন বরুড়া উপজেলার কেমতলী গ্রামের বাসিন্দা ২৭ বছরের নারী। তিনি ঢাকা থেকে বাবার বাড়িতে এসেছিলেন। নতুন করে ১২ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যেকের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লকডাউন করে দেয়।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহসানুল কবীর বলেন, উপজেলা সদরের একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একজন চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ আসে। এজন্য রাতেই ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বাসা লকডাউন করা হয়েছে।