কিয়েভে বিস্ফোরণ, ইউক্রেনজুড়ে বাজছে সাইরেন; বিমান হামলার আতঙ্ক: রিপোর্ট
রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণ সাগরে তলিয়ে যাওয়ার পর ফের ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দাবি, ওই যুদ্ধজাহাজে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল দেশটির বাহিনী।
এরপর শুক্রবার কিয়েভের এক অস্ত্র তৈরির কারখানায় বোমা হামলা চালায় রাশিয়া।
শনিবার ভোর হতেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এর ফলে শনিবার সকালে ইউক্রেনের রিভনে, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক, ভলিন, খমেলনিটস্কি, ভিনিটসিয়া, জিতোমিরসহ বেশিরভাগ অংশে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়। খবর আল-জাজিরা, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো ও গভর্নর ম্যাক্সিম কোজিটস্কি বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তারা দু’জনই টেলিগ্রামে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে লেখেন, শহরের উপকণ্ঠে দারনিটস্কি জেলায় বিস্ফোরণ হয়। তবে এতে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলেই রয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে গভর্নর ম্যাক্সিম কোজিটস্কি বলেন, স্থানীয় সময় পৌনে ৬টা এবং ৭টা ২ মিনিটের মধ্যে একটি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করছে। তবে কীসে আঘাত হানা হয়েছে এবং কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা সে সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদেমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার আগ্রাসনে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজারের মতো ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও ১০ হাজারের মতো সেনা আহত হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, এ সময় ১৯ থেকে ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। যদিও মস্কো গত মাসে বলেছিল যে এক হাজার ৩৫১ রুশ সেনা নিহত ও ৩ হাজার ৮২৫ জন আহত হয়েছে।
তবে বিস্ফোরণের এসব খবর নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি কোনও গণমাধ্যম। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স