December 27, 2024
জাতীয়

কিশোর প্রেমের বিরোধে জড়িয়ে গুলিতে যুবক নিহত

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

চট্টগ্রামে এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আগ্রহী দুই কিশোরের দ্ব›েদ্ব এলাকার বড়রা জড়িয়ে পড়ার পর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক যুবক। নিহত লোকমান হোসেন (৩৫) নগরীর বাদশা মিয়া রোডের পশুশালা এলাকায় থাকতেন। সেখানে একটি কুলিং কর্তার পরিচালনা করতেন তিনি। শনিবার গভীর রাতে বাকলিয়া খালপাড় এলাকায় লোকমান খুন হন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে তার পরিবার।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, রাতে গুলিবিদ্ধ লোকমানকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে ‘প্রেম করা নিয়ে’ দুই কিশোরের দ্ব›দ্ব হয়। সেখানে ‘বড়রা’ জড়িয়ে পড়লে খুনোখুনির ঘটনা ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সাইফুল নামে স্থানীয় এক যুবলীগকর্মীকে দায়ী করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সাইফুলের বাসা থেকে লোকমানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

লোকমানকে হাসপাতালে নেওয়া একজন মো. শামীম বলেন, গোলপাহাড় এলাকার দুই কিশোরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে বাকলিয়া খালপাড় এলাকার এক কিশোরের। তার জের ধরে এক ‘ছোট ভাইকে’ খাল পাড় এলাকায় আটকে রাখার খবর শুনে তাকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়েছিলেন লোকমানসহ তারা ছয়জন। সেখানে অপর পক্ষের গুলিতে লোকমান খুন হয়, বলেন শামীম।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, লোকমানসহ ছয়জন দুটি মোটর সাইকেলে করে খালপাড় এলাকায় গিয়েছিলেন। তখন খালপাড়ের কিশোরদের মধ্যে কেউ একজন ওই এলাকার ‘বড় ভাই’ সাইফুলকে ফোনে বিষয়টি জানায়। তখন সাইফুলের বাসা থেকে গুলি ছুড়লে লোকমান মাটিতে পড়ে যায়।

লোকমানের সহযোগীরা জানায়, খালপাড় এলাকায় তারা যাওয়ার পর সাত থেকে আট রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। একটি গুলি লোকমানের মাথায় লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। গুলির শব্দ শুনে লোকমানের সঙ্গীরা মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়েছিলেন। তারা পরে মোটর সাইকেল আনতে গিয়ে ওই স্থানে রক্ত ধুয়ে ফেলতে দেখার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা রউফ বলেন, যে ভবনের সামনে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটি সাইফুলের নিজস্ব বাসা বলে জানতে পেরেছি। চারতলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ঘটনার পর থেকে সাইফুল পলাতক বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

লোকমানের মা রোকেয়া বেগমের করা মামলায় সাইফুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার পর কৃষ্ণধর (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী।

খালপাড় এলাকার বাসিন্দারা জানান, সাইফুল বাকলিয়া ও চকবাজার থানার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এলাকায় নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দেন তিনি। তার বড় ভাই আজিজও চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, সাইফুল এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে বিভিন্ন মারামারির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় একটি মারামারির মামলা আছে।

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *