কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা, ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল কবির জানান, শনিবার ভোরে অষ্টগ্রামে এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. নাইম ইসলাম (২৭) সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নাইমের বাড়ি থেকে তার শ্যালিকার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে নাইম পলাতক ছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তারের পর নাইম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নাঈমের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী নাঈম ও শ্বশুর বসু মিয়া জেলা শহরে নৈশ প্রহরীর কাজ করেন। গত সোমবার বাবার বাড়িতে খবর দিয়ে তার (স্ত্রীর) বোনকে বেড়াতে আসতে বলেন নাঈম।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তাদের মেয়েকে খাওয়ান। জুস খেয়ে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর স্ত্রীর বোনকেও জুস খেতে বললে সে খায়নি; কিন্তু তার স্ত্রী খেয়েছেন বলে স্ত্রীর ভাষ্য।
তিনি বলেন, জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছোটো বোনকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত। খবর পেয়ে গ্রামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।