কিমের বোনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ায় মামলা
উত্তর কোরিয়া গতমাসে সীমান্তে দুই কোরিয়ার যৌথ লিয়াঁজো অফিস গুঁড়িয়ে দিয়ে সম্পর্ককে অবনতির দিকে ঠেলে দেওয়ার পর উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের বোনকে এর জন্য দায়ী করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক আইনজীবী।
দক্ষিণ কোরিয়ার কৌসুলিরা শুক্রবার এ মামলার ভার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে কিম জং-উনের বোন কিম ইয়ো জংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আনুষ্ঠানিক তদন্ত তারা শরু করবেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার হয়নি।
তাছাড়া, কিম জং উনের বোনকে মামলার জন্য আদালতে ডেকে পাঠানোর কোনও উপায়ও দক্ষিণ কোরিয়ার কৌসুলিদের নেই। সে দিক থেকে কার্যত তাদের হাত বাঁধা। ফলে মামলাটি মূলত প্রতীকী। তবে এ মামলার জেরে উত্তর কোরিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকারী উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগীদের বেলুনে করে উত্তরে প্রায়ই বৈরি বার্তা পাঠানো নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে গতমাসে সিউলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দেয় পিয়ংইয়ং।
এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নিজেদের ভূখণ্ডে কায়েসং সীমান্ত শহরে অবস্থিত দুই কোরিয়ার যৌথ লিয়াজোঁ দপ্তর বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। দপ্তরটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন নেতা কিম-জং-উনের বোন কিম ইয়ো জং।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার উত্তর কোরিয়ার এই ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে যথেষ্ট বলিষ্ঠ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ সিউলের রক্ষণশীল আইনজীবী লি কায়ুং জায়ে’র। আর একারণেই তিনি উত্তর কোরীয় নেতার বোনের বিরুদ্ধে মামলা করতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন লি।
আইনজীবী লি কায়ুং জায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন সমালোচক। তিনি গত সপ্তাহে কিম ইয়ো-জং এর পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ পাক জং-চোনের বিরুদ্ধেও মামলা করেন। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের তহবিলে নির্মিত লিয়োজোঁ কার্যালয় ভবন ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়মমতে, কোনও অভিযোগ দাখিল হলে সাধারণত কৌসুঁলিরা সে বিষয়টি পূর্ণ তদন্ত করে দেখা হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। আর সন্দেহভাজন অপরাধীদের আদালতে হাজির করা না গেলে সাধারণত কৌসুলিরা তাদেরকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা স্থগিত করেন।