January 20, 2025
খেলাধুলা

কিং খানের সামনে রাজস্থানকে দাঁড়াতেই দিল না কেকেআর

প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিল রাজস্থান রয়্যালস, তাতে করে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমর্থকরা একটু চিন্তিতই ছিল। না জানি এই ম্যাচেও কেকেআরকে উড়িয়ে না দেয়!

কিন্তু দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উল্টো রাজস্থানকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছাড়লো দিনেশ কার্তিকের দল। জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়ার পর রাজস্থানকে থামিয়ে দিলো ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রানে। কেকেআরের বোলাররা সাঁড়াসি এবং নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে বেশি দুর এগুতেই পারেনি স্টিভেন স্মিথের দল। ফলে ৩৭ রানের দারুন এক জয় পেলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।

পরপর দু’‌ম্যাচে জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে ছিল রাজস্থান। অন্যদিকে, নিজেরা শেষম্যাচে জিতলেও একটিতে হেরেছে কেকেআর। এখানেই শেষ নয়, দুবাইর মাঠে উপস্থিত খোদ দলের মালিক শাহরুখ খান। এ অবস্থায় মাঠে নেমে রীতিমতো চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলল কলকাতার নাইট রাইডাররা। ব্যাট-বল-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই রাজস্থানকে ধরাশায়ী করলো বলিউড বাদশাহর দল।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। গত কয়েকটি ম্যাচে ফর্মে না থাকা নারিনের সামনে শুরুতেই নিয়ে আসেন আর্চারকে। তবে শেষ পর্যন্ত আর্চারকে সামলে শুরুটা ভাল করে নারিন-গিল জুটি। যদিও ১৫ রান করে ফিরে যান ক্যারিবিয়ান তারকা নারিন।

অন্যদিকে, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করেন শুভমান গিল। তিনি করেন ৪৭ রান। নিতিশ রানা (‌২২), আন্দ্রে রাসেল (‌২৪)‌ শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না।

কিন্তু কেকেআর ম্যানেজমেন্টের চিন্তা অবশ্যই বাড়াবে দীনেশ কার্তিকের অফ ফর্ম। এদিনও মাত্র ১ রান করেই আউট হলেন দীনেশ কার্তিক। তবে গিলের পর কেকেআরের ইনিংসের হাল ধরলেন সেই ইয়ন মরগ্যান। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ ‌উইকেটে ১৭৪ রানে থামে কলকাতার ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে আর্চার দু’‌উইকেট নেন।

যে দল প্রথম দু’‌টি ম্যাচেই ২০০ প্লাস রান স্কোরবোর্ডে তুলেছে, সেখানে ১৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা অনেক কম মনে হতে পারে; কিন্তু এদিনও নাইট বোলাররা প্রমাণ করলেন কেন তাদের টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ বলা হচ্ছে। নারিন-কুলদীপ-কামিন্স, কিংবা আন্দ্রে রাসেলও নন।

দু’‌দলের পার্থক্য গড়ে দিলেন তিন ভারতীয় বোলার। দুই পেসার মাভি-নাগারকোটি এবং স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীই কার্যত ভেঙে দিলেন রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। বাটলার (‌২১)‌ বাদে ব্যর্থ স্মিথ (‌৩)‌, স্যামসন (৮‌), উথাপ্পা (২‌) এবং পরাগ (১‌)‌।

গত ম্যাচের নায়ক রাহুল তেওতিয়াও ফিরলেন মাত্র ১৪ রান করে। তিন বোলারের মধ্যে নাগারকোটি নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন উথাপ্পা এবং পরাগের উইকেট। শুধু আউট করাই নয়, দুরন্ত একটি ক্যাচে আর্চারকেও ফেরান তিনি। অন্যদিকে, মাভি আউট করেন দুরন্ত ফর্মে থাকা স্যামসন এবং বাটলারকে।

বরুণ পান রাহুল এবং আর্চারের উইকেট। কুলদীপ যাদব দলের ১৬ তম ওভারে প্রথমবার বল করার সুযোগ পান। তবে একটি উইকেটও পান তিনি। শেষপর্যন্ত গত দু’‌ম্যাচে স্কোরবোর্ডে ২০০ প্লাস রান তোলা দল ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রানেই থামে তাদের ইনিংস। শেষদিকে, টম কুরান চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ৩৬ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন কুরান। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *