কাশ্মীরের বন্দি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হোক : যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই কাশ্মীরের যে রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের ছেড়ে দিতে ভারতের প্রতি আহŸান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সরকারের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস এ আহŸান জানিয়েছেন। স¤প্রতি ১৫ দেশের ক‚টনীতিকদের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ঘুরে গেছেন অ্যালিস। দেশে ফিরে শুক্রবার ওয়াশিংটনে সংবাদমাধ্যমে তিনি ওই দাবি জানান।
অ্যালিস বলেন, ‘ইন্টারনেটসেবা আংশিক ফিরিয়ে আনাসহ জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স¤প্রতি যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। তবে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের ক‚টনীতিকদের যেন নিয়মিত সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সেখানকার যেসব নেতাকে বন্দি করা হয়েছে, তাদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।’
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ কেড়ে নেয় মোদী সরকার। এরপর থেকেই সেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফোন, ইন্টারনেটসেবা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যে কোনও বড় জমায়েতেও। ফলে পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কাশ্মীর। দেশে বিদেশে শুরু হয় সমালোচনা।
গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদলকে উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি দেয় দিল্লি। তার পর চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, মলদ্বীপ, মরক্কো, ফিজি, নরওয়ে, ফিলিপিন্স, আর্জেন্টিনা-সহ ১৫টি দেশের ক‚টনৈতিক প্রতিনিধিদলকে উপত্যকার পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
স¤প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে করা একটি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানান, ১৪৪ ধারাকে কোনও গণতান্ত্রিক অধিকারের বৈধ মতামত বা অভিযোগ রোধ করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। সংবিধান সবসময় বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছে… কিন্তু সহিংসতা বা জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে আশঙ্কা এড়াতে কোনওভাবেই দিনের পর দিন ১৪৪ ধারা জারি রাখাকে মেনে নেওয়া যায় না।’
ইন্টারনেটের অধিকারকেও বাকস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার অংশ হিসাবে উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করে রাখা নিয়েও সরকারের সমালোচনা করেন আদালত। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যেভাবে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ চলছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন শীর্ষ ক‚টনীতিক অ্যালিস ওয়েলস।