কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছে বাংলার অনেক চিরায়ীত ঐতিহ্য : সিটি মেয়র
খুলনা প্রেসক্লাবে পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসব শুরু
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ক্লাব চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও খুলনা প্রেসক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
উদ্বোধনকালে খুলনা সিটি মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছে বাংলার অনেক চিরায়ীত ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খুলনা প্রেসক্লাবের এই আয়োজন কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রজন্ম এই মেলার মাধ্যমে নানা রাকমের পিঠা-পুলির সাথে পরিচিত হবে। পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসব আয়োজন করার জন্য খুলনা প্রেসক্লাব ও মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সিটি মেয়র ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্লাবের সহকারী সম্পাদক (সাংস্কৃতিক সম্পাদক) মাহবুবুর রহমান মুন্না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য এস এম নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু, কোষাধ্যক্ষ বিমল সাহা, সহকারী সম্পাদক মাকসুদুর রহমান(মাকসুদ) ও এস এম নূর হাসান জনি, ক্লাব সদস্য মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, রকিব উদ্দিন পান্নু, দেবব্রত রায়, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, সুমন আহমেদ, শেখ মো: সেলিম, ক্লাবের ইউজার সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম, এস এম বাহাউদ্দিন, মোঃ হেলাল মোল্লাসহ অন্যান্য সাংবাদিক ও অতিথিবৃন্দ।
পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসব চলবে রবিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্টলগুলো দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের স্বনামধন্য ৩৬টি স্টল উৎসবে অংশ নিচ্ছে। উৎসবের স্টলগুলোতে চিতই, মালপোয়া, দুধ পুলি, ভাপা, নকশি পিঠা, মুগ পাকন, পাটিসাপটা, লবঙ্গ লতিকা, হৃদয় হরণ, ডিম সুন্দরী, বিবি খানা, চালতা পাতা, জামাই পিঠা, গোলাপসহ মজার মজার নামের প্রায় অর্ধশত পিঠার দেখা মিলছে। এছাড়াও স্টলগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন রকমারী পণ্য।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ