কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হবে ওএমএসের ১০ টাকা কেজির চাল
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড নেই- এমন দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের তালিকা তৈরি করে কার্ডের মাধ্যমে তাদের বিশেষ ওএমএসের ১০ টাকা কেজি দরের চাল দেবে সরকার।
১০ টাকা কেজি দরের বিশেষ ওএমএসের চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন থেকে করোনাভাইরাস বিস্তারের শঙ্কা থাকায় গত ১৩ এপ্রিল এই কার্যক্রম স্থগিত করেছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রীর চিঠিতে বলা হয়েছে, “যারা ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকাভুক্ত রয়েছে, তাদেরকে এই তালিকার বাইরে রেখে যাদের কার্ড নেই এমন দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের নামে তালিকা তৈরি করে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে মাসিক ২০ কেজি বা পাক্ষিক ১০ কেজি করে চাল করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণ করতে হবে।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “বিগত বোরো ও আমন মৌসুমে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগ্রহ অভিযানে নিজেদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে ধান-চাল সংগ্রহ করেছে বিধায় সরকারি গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রাখা সম্ভব হয়েছে।
“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সবাইকে দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় মামলাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এছাড়া দুর্নীতিতে জড়ালে ডিলারদের ডিলারশিপ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব অফিস-আদালত এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ। সরকারের ভাষায় এই ‘সাধারণ ছুটিতে’ মানুষের ঘরবন্দি দশা চলবে অন্তত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
এই সময় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ফলে বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরের চালের দাম ১০ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছিল।
সপ্তাহে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই চাল বিক্রি চলছিল। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন।