কারাগারে সাংবাদিক কাজল
যশোরের বেনাপোলের সাদিপুর ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া চিত্র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (০৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এছাড়াও মামলার নথিতে আগে রাজধানীর তিনটি থানায় তিনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা উল্লেখ করা হয়। ফলে ওইসব মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সাংবাদিক কাজলের আইনজীবী দেবাশীষ দাস বলেন, বিজিবির দায়ের করা অনুপ্রবেশের মামলায় জামিন হয়। তবে গত ৯, ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গির চর থানায় দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদালত কোনো আদেশ দেননি। তবে যশোর পুলিশের ৫৪ ধারায় দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
যশোর আদালত পুলিশের হাজতখানার ইনচার্জ এটিএসআই সন্তোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, ৫৪ ধারায় দায়ের করা মামলায় আদালত সাংবাদিক কাজলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশনা মোতাবেক তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত শনিবার (০২ মে) রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে চিত্র সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার অভিযোগে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করে বিজিবি। সেখানে পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান ও নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে দুপুরে তাকে পোর্ট থানা পুলিশ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে যশোর ডিএসবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানেও ফের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে নেওয়া হয়। এরইমধ্যে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করে। আদালত পুলিশ নথি ফরওয়ার্ডিংয়ে রাজধানীর পৃথক তিন থানায় দায়ের হওয়া তিনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কথাও উল্লেখ করে। পরে বিচারক অনুপ্রবেশের মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও অন্য মামলাগুলোর কারণে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।