কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নাটোরে আব্দুল জলিল নামে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের স্ত্রী নিজেই স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনা তদন্তে কলেজ অধ্যক্ষ ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন-কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষে বিদ্যোতসাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও দাতা সদস্য আহাদ আলী সেতু, কলেজ প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক সুজন ফৌজদার, আবদুল জলিল ভুইয়া, গোলাম মোস্তফা এবং শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে আব্দুস সালাম ও শর্মিলা ভট্টাচার্য্য।
শনিবার দুপুরে নাটোর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী পারভীন এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, তদন্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি স্পর্শকাতর, তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, তদন্ত শেষ হলেও এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটি। এ কারণে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল জলিলের স্ত্রীর করা অভিযোগের বরাত দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ জানান, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন শিক্ষক আব্দুল জলিল। জলিল অবিবাহিত জেনে তার আহŸানে সাড়া দেয় ওই ছাত্রী।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের শেষদিকে নাটোরের উত্তরা গণভবনে ওই ছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যান শিক্ষক জলিল। বিষয়টি জেনে যান তার স্ত্রী। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে এমন সম্পর্কে আর না জড়ানোর প্রতিশ্র“তি দিয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন জলিল।
একপর্যায়ে ওই ছাত্রী জলিলের সঙ্গে ইতোপূর্বে তোলা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেরত চায়। পরে গত মার্চ মাসে ছবিগুলো ফেরত দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে নাটোর শহরের উপশহরের নিজ বাড়িতে ডেকে নেন জলিল। সেসময় বাসায় স্ত্রী না থাকায় ওই ছাত্রীকে পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে জলিলের স্ত্রী বাড়িতে ফিরে বাড়িওয়ালার কাছে ওই ছাত্রীকে ডেকে আনার কথা জানতে পারেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে তার স্ত্রী মিমি খাতুন গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল জলিল এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিনি কোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত হননি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।