কলেজছাত্রী তন্নীকে হত্যার দায়ে প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত কলেজছাত্রী তন্নী রায়কে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার দায়ে রানু রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল- ২ সিলেটের বিচারক রেজাউল করিমের আদালত এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তন্নীর বাবা বিমল রায় বলেন, আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
উলেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর শেরপুর রোডস্থ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বাবা বিমল রায়। এর ৩ দিনের মাথায় তন্নী রায়ের বস্তাবন্দি লাশ শাখা বরাক নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।
এরপর একই বছরের ৭ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের ওসি মো. আজমির“জ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বি-বাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রানু রায়কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে রানু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ও তন্নীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন।