September 8, 2024
আঞ্চলিক

কলারোয়ায় ভাগ্নের সংবাদ সম্মেলন আদালতের রায় না মেনে জমি ধান কেটে নিলো মামারা

 

 

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

স্থানীয় পর্যায়ে শালিসে মিটমাট হয়েছে, বিজ্ঞ আদালতের রায়ও হয়েছে তারপরেও জমি দখল করে রোপনকৃত ধান কেটে নিলো প্রতিপক্ষরা। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাদরা গ্রামে গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভূক্তভোগি ওই গ্রামের মনুছুর আলীর ছেলে আলাউদ্দীন তার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার নিয়ে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ও প্রতিকারের প্রত্যাশায় কলারোয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ করেছেন।

বেলা ১২টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আলাউদ্দীন বলেন- ‘তার মা-খালাদের পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া মাদরা গ্রামের খতিয়ান নং-২৯৬, ২৯৮, দাগ নং- ৩০৬ এর ৪১শতক জমি ভোগদখল করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু তার মামা একই গ্রামের মালেক মন্ডলের পুত্র জাকির হোসেন বাদী হয়ে তার বোনদের অর্থাৎ আলাউদ্দীনের মা-খালাদের বিবাদী করে সাতক্ষীরা কোর্টে দেওয়ানী মামলা (নং-৩৫/১৪) করে। সেই মামলায় বিবাদীদের পক্ষে রায় হয়। পরবর্তীতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আপিল (নং-৮৯/১৮) করলে গত চলতি বছরের ১৯ মার্চ বিবাদীদের পক্ষে রায় বহাল থাকে।

তিনি আরো বলেন- ‘শুধু তাই নয়, বছর ছয়েক আগে তৎকালীন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বরদের মাধ্যমে শালিসি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিরোধপূর্ণ সেই জমি মা-খালাদের দখলে বহাল ছিলো এবং আলাউদ্দীন তার তিন মামাকে ৫০হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু বর্তমানে সেই শালিস ও বিজ্ঞ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শনিবার বোন-ভাগ্নেদের দখলে থাকা জমি বেদখল করে রোপনকৃত ধান কর্তন করে নিলেন মামারা। এমনকি ভাগ্নের বাড়ির উঠানে থাকা ধানও জোরপূর্বক নিয়ে যান তারা। পাশাপাশি ওই জমির একপাশে থাকা ভাড়া দেয়া ৮টি টিনের ছাউনি দেয়া কাঠের দোকান দখলের পায়তারা করে দোকানদারদের ৩ দিনের মধ্যে দোকান ফাঁকা করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। একই সাথে তার পরিবারকেও হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

এ ঘটনায় আলাউদ্দীন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মাদরা গ্রামের মালেক মন্ডলের পুত্র জাকির হোসেন, কলিম মন্ডল, ফজলু মন্ডলসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আলাউদ্দীনের সাথে উপস্থিত তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও বোন রেহেনা খাতুন বিষয়টি সুরহা করতে প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *