কলারোয়ায় প্রতিবন্ধী মহিলার বসত বাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শারিরীক প্রতিবন্ধী এক মহিলার বসত বাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে কলারোয়া পৌর সদরের তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মৃত. মতিয়ার রহমানের কন্যা শারীরিক প্রতিবন্ধী নূর জাহান খাতুন কলারোয়া প্রেসক্লাবে এসে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও অসহায় মহিলা। তার একমাত্র ছেলে আব্দুর রাজ্জাকও শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি বহু কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে পৌর সদরে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। তার মধ্যে থেকে ৭ শতকের উপর একটি বসত ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। বাকি ১ শতক জমি বাড়ির প্রবেশ পথের জন্য রেখে দেন। জমি ক্রয় করার সময় জমির মালিক তাকে যে পথ দেখিয়ে দেয় সেই ১ শতক জমির পথ দিয়ে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে যাতায়াত করে আসছেন। বর্তমানে ক্রয়কৃত জমির মালিকের আপন ছোট ভাই প্রতিবেশী ওজিহুর রহমান ওই জমি মেপে জানিয়ে দেয় যে, তোমার ব্যবহৃত পথ আমার পাওনা হয়েছে। আমি উক্ত পথ ঘিরে দেব। তোমার পথ পাশের জমির মালিক আমিনুদ্দীনের ছেলে হযরতের জমির মধ্যে চলে গেছে।
পরে তিনি ও ওজিহুর রহমান দুইজনে প্রতিবেশী হযরতকে বিষয়টি জানান, তোমার ঘরটি একটু পিছাইয়া তৈরী করো তোমার ওই জমির মধ্যে তার (নূর জাহান) জমি রয়েছে। তিনি একজন অসহায় প্রতিবন্ধী হওয়ায় হযরত আলী তার কথায় কোন কর্ণপাত না করে তার বাড়ি যাওয়ার পথের উপর ঘর নির্মান করেছে। বর্তমানে অসহায় মহিলাটি বাড়ি প্রবেশ করতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল শালিসি বৈঠকের আয়োজন করলে, তাতে হযরত আলী কোন মিমাংসায় আসেননি। তাই বিষয়টি সাংবাদিকদের দ্বারা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন অসহায় প্রতিবন্ধী নূর জাহান খাতুন। এদিকে অভিযুক্ত হযরত আলীর ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।