কলারোয়ায় পাঁচ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতন
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব ভাদিয়ালীর রাজপুর গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যার উপর পাশ্ববিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী লম্পট এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের স্বীকার শিকার হওয়া শিশুটির মা মর্জিনা বেগম এঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ নেক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার রাজপুর গ্রামে।
শিশুটির মা মর্জিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিম শিশু রাজপুর গ্রামের নিজ বাড়ীর সামনে প্রতিবেশী দোলা ভাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল তার বাচ্চাদের সাথে খেলা করার জন্য। কিন্তু ঘর থেকে বের হয়ে শিশুটি বাড়ীর উঠান পর্যন্ত গেলে প্রতিবেশী চায়ের দোকানদার লম্পট যুবক সোহান শিশুটির মুখ ও হাত চেঁপে ধরে প্রতিবেশি আব্দুল আজিজের বসত ঘরে নিয়ে গিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে পাশ্ববিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে ঘর থেকে তার মা বাহিরে এসে দেখতে পায় মেয়ে মাটিতে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে আর লম্পট যুবক মাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই মেয়েকে গোসল করিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তার পরামর্শে ভিকটিমসহ তার পিতা-মাতা থানায় হাজির হয়ে লম্পট যুবকের লালসার শিকার হওয়া শিশুটি থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের নিকট ঘটনার বয়ান পেশ করেন। বয়ান শুনে থানার অফিসার ইনচার্জ মুনীর উল গীয়াস ভিকটিম পরিবারের দেয়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসাবে গন্য করেন। এ ঘটনার পর থেকে লম্পট সোহান (১৫) পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছেন। সে ওই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি এমন একটি জঘন্য কাজ করা হয়েছে ৫ বছরের শিশু বাচ্চাটির উপর।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান- নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে মামলা নেয়া হয়েছে। যার মামলা নং-২৯(৬)১৯। আসামি ধরার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।