January 22, 2025
আঞ্চলিক

কলারোয়ার চন্দনপুর কলেজে নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের দাবিতে গণদরখাস্ত

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজে কয়েকটি পদে নিয়োগ বোর্ডের আগেই অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন প্রার্থী ও এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা এমন অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- চন্দনপুর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, একজন ল্যাব সহকারী (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) ও একজন ল্যাব সহকারী (২য় পদ) পদে নিয়োগের জন্য গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯ সালে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেখানে পদের প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়নি। ব্যাংক ড্রাফটের কথা থাকলেও কোন ব্যাংকের শাখায় ড্রাফট করতে হবে সেটাও উল্লেখ নেই। ইতোমধ্যে ওই পদগুলোতে অনেকগুলো আবেদন জমা পড়লেও নিয়োগ দেয়ার জন্য সুমন হোসেন, আসমাউল হুসনা, মিলন হোসেন ও সাইফুল্যাহ’র নাম শোনা যাচ্ছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়- উল্লেখিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে যোগসাজশ করে তাদের নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চলছে। চন্দনপুর কলেজের সুউচ্চ ভবন ও সুন্দর পরিবেশ থাকলেও এলাকার মানুষের চাহিদাকে অগ্রাহ্য করে আগামি ২৪জানুয়ারী শুক্রবার সকালে ওই নিয়োগ বোর্ড করা হচ্ছে কলারোয়া সরকারি কলেজে। এখানেও প্রশ্ন উঠেছে এলাকার মানুষের কাছে।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে- ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে যে, কলেজে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ল্যাব আছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ কর্তৃক প্রত্যয়নপত্রের দ্বারা নিশ্চিত হয়ে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করবেন। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত কোন বিশেষজ্ঞ চন্দনপুর কলেজের ল্যাব পরিদর্শন করেননি। অর্থাৎ বাস্তবে এখন পর্যন্ত ল্যাব পরিদর্শনপূর্বক প্রত্যায়ন নেয়া হয়নি। তবে কোন বিশেষজ্ঞ দ্বারা যদি প্রত্যায়ন নেয়া হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রেও জালজালিয়াতীর আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নিয়োগ বানিজ্যের আশংকা প্রকাশ করে কয়েকটি দপ্তরে দরখাস্ত দিয়েছেন। পাশাপাশি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ড নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ২৪তারিখে বোর্ড স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন।

সেলফোনে এ বিষয়ে অধ্যক্ষ গাজী রবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে বলেন- ‘যে কেউ অভিযোগ দিতে পারে। নিয়োগ বোর্ড যেখানে খুশি করি। অর্থ বানিজ্যের অভিযোগটি অস্বীকার করে তিনি এটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *