কলম্বোর সেই মাদকচক্রের পাঁচ জন বাংলাদেশে গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গত বছরের শেষ দিন শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সোমবার রাতে ঢাকার কাউলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- শরিয়তপুরের গোছাইর হাট উপজেলার কোদালপুর গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে ফাতেমা ইমাম তানিয়া (২৬), চট্টগ্রামের স›দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া গ্রামের আশরাফ উলাহর মেয়ে আফসানা মিমি (২৩), মানিকগঞ্জ সদরের সরুপাই গ্রামের সালাম মিয়ার মেয়ে সালমা সুলতানা (২৬), বগুড়া সদরের জহুরনগর গ্রামের তফাজ্জল শেখের ছেলে শেখ মোহাম্মদ বাধন ওরফে পারভেজে (২৮) এবং শরিয়তপুর জেলার সখীপুরের চরভাগা গ্রামের মো. নাছিরের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে সায়মন।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তারের সময় ওই পাঁচজনের কাছ থেকে ১৯৭০টি ইয়াবা, বিদেশি মুদ্রা ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্বীকার করেছে’।
গত ৩১ ডিসেম্বর কলম্বোর কাছে দেহিওয়ালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৭২ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন উদ্ধার করে শ্রীলঙ্কার পুলিশ নারকোটিক ব্যুরো ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বলা হচ্ছে, সা¤প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কায় জব্দ করা মাদকের সবচেয়ে বড় চালান এটি।
প্রায় তিন বিলিয়ন শিংহলি রুপি (১৫২ কোটি টাকা) দামের ওই মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দুই বাংলাদেশিকে সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বগুড়ার মোহাম্মদ জামালউদ্দিন, অন্যজন জয়পুরহাটের দেওয়ান রফিউল ইসলাম।
তার দুই সপ্তাহ আগে একই এলাকা থেকে ৩২ কেজি হেরোইনসহ সূর্যমণি নামে আরেক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার খবর আসে শ্রীলঙ্কার সংবাদ মাধ্যমে।
এই মাদক চোরাচালানের তদন্তে সে সময় শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার এম রিয়াজ হামিদুলাহ সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এরপর তদন্তে নেমে ৫ জানুয়ারি উত্তরার এক বাড়ি থেকে চয়েজ রহমান নামে একজনকে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
এছাড়া কলম্বো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে তিন নারীকে আটক করার খবর সে সময় সংবাদ মাধ্যমে আসে। ওই তিন নারী কলম্বোতে মাদকের চালানটি পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।