January 20, 2025
টেকনোলজি

কর্মীদের আজীবন বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে টুইটার

করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী অনেক অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীই বর্তমানে বাসায় বসে কাজ করছেন। একই চিত্র আন্তর্জাতিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ও বিপুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারেরও। মার্চ মাস থেকেই সান ফ্রান্সিসকোস্থ টুইটার সদর দপ্তরের প্রায় ৫ হাজার কর্মী বাসা থেকেই অফিসের কাজ করছেন।

এবং এই বন্দোবস্ত এতোটাই সফল যে, কর্মীদের আজীবন বাসা থেকেই অফিসের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে টুইটার।

বুধবার (১৩ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বাসাকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে নির্বাচনের ব্যাপারে এটিকে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামীতে চাকরি বাজারে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ব্যাপক প্রভাববিস্তারী হবে বলে মনে করে হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি কর্মীদের পাঠানো এক অফিস মেইলে জানিয়েছেন,  গত কিছু মাস প্রমাণ করেছে যে, আমরা খুব ভালোভাবে বাসা থেকে অফিসের কাজ করতে পারি। ফলে বাসা থেকে করা সম্ভব এ ধরনের কাজের দায়িত্বে থাকা যে কোনো কর্মী চাইলেই আমরা তাকে সবসময়ই বাসা থেকে কাজের সুযোগ দেবো।

টুইটারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেনিফার ক্রিস্টি জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্র বদলে অফিস থেকে বাসায় নেওয়ার ব্যাপার টুইটার অগ্রগণ্য। কিন্তু পুনরায় বাসা থেকে অফিসে কর্মক্ষেত্র নেওয়ার ব্যাপারে এ প্রতিষ্ঠান অগ্রগণ্য হতে চায় না।

টুইটারেই এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কর্মক্ষেত্র অফিসের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গর্ববোধ করছি। এতে করে আমাদের কর্মীরা কাজের ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। আপনি রান্নাঘর বা অফিস যেখান থেকেই অফিসের কাজ করতে চাইবেন আমরা সেটাই দেবো।

এদিকে এরই মাঝে কর্মক্ষেত্র বদলে টুইটারের এমন সিদ্ধান্তের ঢেউ বাণিজ্য দুনিয়ায় প্রভাব ছড়াতে শুরু করেছে।

অনেকেই বলছেন যে, আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক অনেক প্রতিষ্ঠানই টুইটারের এ ধরনের পদক্ষেপের অনুসরণ করবে। এটিকে যুগান্তকারী সংবাদ বলছেন অনেকেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মেক্ষেত্র সব সময় অফিসেই হতে হবে, সনাতন এই ধারণা বদলে দিচ্ছে টুইটারের এ সিদ্ধান্ত। বাসা থেকেও যে সমান দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা যায়, বরং অনেক ভালো কাজ করা যায় তা নানাভাবে প্রমাণিত। ফলে অফিসে গিয়েই কাজ করার ব্যাপারটি অনিবার্য নয়।

নয়া দিল্লি, লন্ডন, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বব্যাপী টুইটারের ৩৫টি কার্যালয় আছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে ফেসবুক, গুগলসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই পুরো ২০২০ সাল কর্মীদের বাসা থেকেই অফিসের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *