করোনা মুক্ত হয়ে বাসায় ফিরলেন সাংবাদিক এমদাদ
দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পর করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন সাংবাদিক এমদাদুল হক খান ও তার পরিবার।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উত্তরার রিজেন্ট হসপিটাল থেকে রিলিজ পান এমদাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বেশ কিছুদিন চিকিৎসা শেষে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর তাদের বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে একটি জাতীয় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এমদাদুল হক খান জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর জ্বর তেমন ছিল না। কাশি ছিল। গলা ব্যথা ছিল।
একই হাসপাতালে একই রুমে চিকিৎসাধীন ছিলেন তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে। চিকিৎসায় ক্রমেই উন্নতি হচ্ছিল। পরে ওই হাসপাতালে পরীক্ষা করার পরে দেখা যায় তার স্ত্রী ও বড় মেয়ের করানো পজিটিভ হলেও ছোট মেয়ের নেগেটিভ এসেছে।
এই অবস্থায় গত ২০ এপ্রিল এমদাদ ও তার স্ত্রী-বড় মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় বুধবার স্ত্রী রেখা খানম ও বড় মেয়ের করোনা নেগেটিভ আসে। একইভাবে বিকেলে নেগেটিভ আসে সাংবাদিক এমদাদের । পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মালিবাগের বাসায় ফেরেন তারা।
গত ১ এপ্রিল থেকেই গলা ব্যথা, সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন এমদাদ। জ্বর, কাশির ওষুধ সেবন করেও কাজ হচ্ছিল না। সন্দেহ হচ্ছিল তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল থেকে বারবার আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল দিয়ে সাড়া পাননি তিনি।
পরে গত ৯ এপ্রিল সরাসরি বিএসএমএমইউ-তে গিয়ে টেস্ট করান। পরদিন তাকে ফোনে জানানো হয়েছে যে তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানাজানি হলে তার পাশে দাঁড়ায় টিভি নাটকের পরিচালকদের সংগঠন ‘ডিরেক্টর গিল্ড’। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ডিরেক্টর গিল্ড। অ্যাম্বুলেন্সে করে এমদাদ ও তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে বাসা থেকে নিয়ে ভর্তি করা হয় রিজেন্ট হসপিটালে।
সেখানে ভর্তির পর গত ১২ এপ্রিল এমদাদের স্ত্রী ও দুই সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ১৪ এপ্রিল ছোট মেয়ে স্কুলপড়ুয়া রুবাইদা খান এষা ছাড়া অন্যদের পজেটিভ আসে। পরে ছোট মেয়ে এষাকে তার মামার সঙ্গে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে থাকেন তিনজন। সেখানে ডা. আবু বকর সিদ্দিকের অধীনে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেন তারা।
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, আরো দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে ও পাশাপাশি গরম পানি, আদা, লেবু পানি পান করতে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে। সেইসঙ্গে কিছু ওষুধ সেবন করতে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাসায় ফিরে সহযোগিতার জন্য ডিরেক্টর গিল্ডের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এমদাদুল হক খান। সেইসঙ্গে খোঁজখবর নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের।