করোনা মহামারি বন্ধে আশা জাগাচ্ছে চীনের সম্ভাব্য ওষুধ
সারা বিশ্ব বর্তমানে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ করছে। বিভিন্ন দেশে সম্ভাব্য অনেক ওষুধের কথাও শোনা যাচ্ছে। সেগুলোর কোনো কোনোটা গবেষণাগারে পরীক্ষার পর্যায়ে, কোনোটা এরই মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে।
এরইমধ্যে সম্ভাব্য নতুন একটি ওষুধ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারির অবসান ঘটাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে চীনের একটি গবেষণাগার।
মঙ্গলবার (১৯ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। গত রোববার (১৭ মে) বিজ্ঞান বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘সেল’ সম্ভাব্য নতুন এ ওষুধ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষকদের দাবির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটিতে একদল বিজ্ঞানী করোনার সম্ভাব্য একটি ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছেন। এটি করোনা আক্রান্তদের সেরে ওঠার সময়কাল কমানো ও শরীরে স্বল্পমেয়াদী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষকদলের অন্যতম পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বেইজিং অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জেনোমিকস’ বিভাগের পরিচালক সানে জি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, এরইমধ্যে প্রাণীদেহের ওপর করোনার সম্ভাব্য এ ওষুধ প্রয়োগে সাফল্য এসেছে। শিগগিরই মানবদেহে এর প্রয়োগ শুরু করার পরিকল্পনা চলছে।
জি বলেন, করোনা আক্রান্ত ইঁদুরের শরীরে নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি দেওয়ার ৫ দিন পর ভাইরাল লোড অনেকাংশে কমে যায়। অর্থাৎ এ ওষুধের নিরাময় গুণ রয়েছে।
জি ও তার দল করোনা থেকে সেরে ওঠা ৬০ জন রোগীর শরীর থেকে নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করেন।
চলতি বছরের শেষের দিকে এ ওষুধ বাজারে আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন জি। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এই ওষুধ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি থামাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
চীনে ইতোমধ্যেই আরও ৫টি ওষুধ মানবদেহে প্রয়োগের পর্যায়ে রয়েছে বলে গত সপ্তাহে জানানো হয়। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লেগে থাকে।