October 30, 2024
জাতীয়

করোনা: পোশাক কারখানা বন্ধের দাবি

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকের জীবন এবং শিল্পখাত রক্ষায় সব পোশাক কারখানা সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার দাবি জানান বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানান বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে ২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন আইসিইউতে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসেছে হল খালির নির্দেশ, সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বন্ধসহ লোক সমাগমের যেকোন আয়োজন।

মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, রাজধানীতেও থমথমে অবস্থা। অথচ এই বিশেষ পরিস্থিতিতে রপ্তানি আয়ের শীর্ষে অবস্থান করা পোশাক খাতের ৪০ লাখ শ্রমিকের বিশেষ নিরাপত্তায় মালিক বা সরকারের কোনো ঘোষণা আসেনি।

আরও বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকের জীবন এবং শিল্পখাত রক্ষায় সব পোশাক কারখানা সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার আহবান জানান। একইসঙ্গে শ্রমিকদের জন্য রেশনিংসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণেরও জরুরি আহবান জানান।

বিবৃতি অনুযায়ী, ৪০ লাখ শ্রমিকের বেশির ভাগ কারখানায় নিরাপদে হাত ধোয়া, পয়নিঃষ্কাশন, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা কিংবা বেশি বেশি পানি খাওয়াসহ হাইজিন রক্ষার যাবতীয় নিয়ম পালন করার সুযোগ নেই। শ্রমিকরা অপরিচ্ছন্ন হাতে মেশিন ও অন্যান্য দ্রব্য স্পর্শ করছেন এবং হাজার হাজার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন। এই পরিবেশ সা¤প্রতিক করোনার জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত বিপদজনক। মহামারির আতঙ্কে বাজারেও সংকট দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তারা কারখানা বন্ধের পর শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য দ্রব্য মজুতদারী কিংবা বাসা ভাড়া বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকরা যাতে বিপর্যয়ে না পড়ে তার জন্য বাসা ভাড়া ও বাজার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নেতৃবৃন্দ।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *