করোনা: দেশে দেশে আক্রান্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আমলারাও
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসে বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আমলারাও। প্রভাবশালী রাজনীতিকদের অনেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। কেউ আবার বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথও।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ২০১৯ সালের শেষে দিকে চিনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও এটি গোটা দুনিয়াকে বর্তমানে গ্রাস করে নেওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। দেশে দেশে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা, লকডাউন। তবু মোকাবিলা করা যাচ্ছে না।
গ্রেট ব্রিটেনের রাজপরিবারকেও ছাড়েনি করোনা। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, বাদ যায়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও।
গত ২৫ মার্চ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়। ২৭ মার্চ দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক নিজেই আক্রান্ত হওয়ার খবর টুইট করে জানান। তারও আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াকোব লিটজম্যান ও তার স্ত্রী সম্প্রতি কভিড-১৯ পজিটিভ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদেরও আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
কভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশ সরকারের আমলারাও দেশের বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে যেমন প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন, তেমনি আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আশঙ্কাজনক হারে আক্রান্ত হচ্ছেন ডাক্তাররাও।
এদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাওয়ায় নেদারল্যান্ডস’র স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রুনো ব্রুইন্স পদত্যাগ করেছেন ২০ মার্চ। ২২ মার্চ একই পথে হেঁটেছেন ইকুয়েডরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং শ্রমমন্ত্রী।
প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছেন নামকরা গায়ক, অভিনেতা, সাংবাদিকও। ২৯ মার্চ মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ৫৪ বছর বয়সী খ্যাতনামা সংবাদিক মারিয়া মেরক্যাডার। তুমুল জনপ্রিয় জাপানি কমেডিয়ান কেন শিমুরারও মৃত্যু হয়েছে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক রোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে দ্রুত ছড়াচ্ছে। ফলে হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে সংস্থাটি। আর পরামর্শ রয়েছে ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার।