January 21, 2025
জাতীয়

করোনা ঝুঁকি নিয়েই দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল

করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই জীবিকার তাগিদে কর্মস্থল রাজধানী ঢাকায় ছুটছে মানুষ। গত কয়েকদিনের মতো বুধবারও (২৯ এপ্রিল) রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়ার পাটুরিয়া নৌ-রুটে রয়েছে ঢাকামুখী মানুষের ঢল।

ভিড়ের মধ্যেই গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে দুপুরের দি সেনাবাহিনীর পদক্ষেপে মানুষের ভিড় কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, করোনার সংক্রমণ রোধে বন্ধ রয়েছে শিল্প-কারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস-আদালত। ঢাকাসহ তার আশ-পাশের এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস কারখানা খোলা থাকার সিদ্ধান্তে দৌলতদিয়ায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষের ঢল শুরু হয়।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে লকডাউন চলছে। এতে করে অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়ার পাটুরিয়া নৌ-পথে সীমিত আকারে ৫টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু ফেরি সচল থাকায় বিভিন্ন জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের সঙ্গে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পারাপার হচ্ছেন। এতে করোনা ভাইরোসের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল বিআইডব্লিউটিসির দুই কর্মকর্তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় সংস্থাটিতে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকামুখী যাত্রীরা জানান, পেটের ক্ষুধার কাছে করোনা ভাইরাস কিছুই না। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও যেতে হবে ঢাকার কর্মস্থলে। না যেতে পারলে চাকরি থাকবে না। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় যেতে হচ্ছে।

দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুন্নাফ জানান, দৌলতদিয়ার পাটুরিয়া নৌ-রুটে কোনো যাত্রী যেন নৌ-যানে পারাপার হতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সর্বদা চেষ্টা করছি। হঠাৎ করেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। আমাদের লোকবল কম থাকায় যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, সরকারি আদেশে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌ-পথে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি চলাচল সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু মানুষের চাপে আমরা ঠিকমতো পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করতে পারছি না। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এরা সবাই বিভিন্ন গার্মেন্টস ও অনান্য ছোটখাটো কারখানা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। করোনা ঝুঁকি থাকলেও ফেরিতে এদের পারাপার এভাবে ঠেকানো সম্ভব নয়। মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে দুপুরের দিকে সেনাবাহিনীর পদক্ষেপে মানুষের ভিড় কমেছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *