করোনা: এক লাখ কিট সংগ্রহ করা হবে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
অল্পসময়ের মধ্যে এক লাখ স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপকরণ (কিট) ও ১০ লাখ পারসোনাল প্রটেকশন ইকুয়িপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুই হাজার কিট ও ১০ হাজার পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের পিপিই কোনো ঘাটতি নেই। প্রয়োজন অনুয়ায়ী সব হাসপাতালে সরবরাহ করছি। দুই তিন মাস যাবৎ আমরা চিকিৎসকদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কিভাবে চিকিৎসা দিতে হবে। কিভাবে ইকুয়িপমেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, চীন থেকে চিকিৎসক আনার কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তবে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবো। চীন আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। তারা সবসময় আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। এখনও করছে। তারা আমাদের কিট ও পিপিই দেবে।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রেকে কিট তৈরির সরকারি অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিট তৈরি হলে আমাদের জন্য ভালো। তবে তাদের কিটে ফলস নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। কিটে ভুলভাবে নেগেটিভ এলে অনেক ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও বাইরে ঘুরে বেড়াবেন। এতে অন্য লোকজন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তবে ভুলভাবে পজেটিভ এলে আমাদের জন্য ভালো। কারণ এতে পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ থাকবে।
তিনি বলেন, দেশে নতুন করে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭। এরমধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। নতুন আক্রান্তরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তাদের পরিবারের একজন সদস্য ইতালিফেরত। এদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। আক্রান্ত নারীর বয়স ২২, পুরুষ দুইজনের বয়স যথাক্রমে ৬৫ ও ৩২।