January 20, 2025
আঞ্চলিককরোনালেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

করোনা ইউনিট নিয়ে খুলনায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর যেমন প্রস্তুতি

আলি আবরার…

করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে খুলনায় নুরনগরস্থ খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্ধারিত আছে। এর পাশাপাশি খুলনা সদর হাসপাতালের ৪র্থ তালায় ৪২ শয্যার একটি ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। সরকারিভাবে মোটামুটি এই দুইটি হাসপাতালই বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হয়েছে।

এছাড়াও জুলাইয়ের ৫ তারিখের খুলনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির এক জরুরি সভায় ৪টি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এগুলা হল গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

এদের মধ্যে দুইটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়।

হাসপাতালগুলার প্রস্তুতি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে এন্ড হসপিটালের অ্যাডমিন ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম দক্ষিণাঞ্চলকে জানায়, “আমাদের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি প্রায় শেষ, এখন শুধুমাত্র লোকবল নিয়োগ বাকি। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি এইগুলা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য”।

“যদিও আমরা জুনের ২০ তারিখ থেকে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি এর পাশাপাশি আলাদা করোনা ইউনিটেরও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি ৪৮-৫০ বেডের মধ্যে হবে শয্যা সংখ্যা”

গাজী মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের ডিরেক্টর গাজী সেজানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, “প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই আমরা সকল প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি ও তড়িৎ গতিতে এগিয়ে চলছি। আমরা করোনা ইউনিটের জন্য আলাদা করে এইচডিইউ(হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) করেছি যা ৬ শয্যা সংখ্যা বিশিষ্ট ও এখানে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সুবিধা থাকবে। অলরেডি একটি ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং আরো ৪ টি চায়না থেকে আসছে যা ঈদের পরেই হাতে পাবো।এছাড়া করোনা ইউনিটটি ৩ টি জোনে ভাগ করা হবে।

  • রেড জোন-৬ শয্যা বিশিষ্ট শুধু মাত্র করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য।
  • ইয়োলো জোন-২৩ শয্যা বিশিষ্ট যেখানে শুধু মাত্র সাস্পেক্টেড রোগীদের রাখা হবে।
  • গ্রেন জোন- যাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে তাদের সেবা এখানে হবে।

গাজী মেডিকেলে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ,নমুনা কালেকশন বুথ ও পিসিআর ল্যাব।

এছাড়াও খুলনায় বেসরকারিভাবে আমরাই প্রথম করোনা টেস্ট চালু করতে যাচ্ছি নিজস্বভাবে। আমরা ইতিমধ্যে একটি আরসিটি-পিসিআর মেশিন স্থাপন করেছি ও এর সকল ট্রেনিং কার্যক্রম চালাচ্ছি। এতে প্রথমে ৯৬ টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও পরে যেয়ে চাহিদা মোতাবেক আরো বাড়ানো হবে। এছাড়াও আমরা আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম এক্সটেনশন করেছি। নমুনা কালেকশনের জন্যে আমরা আলাদা বুথ করেছি ও বাসায় যেয়েও কালেকশনের ব্যবস্থা রাখবো। এগুলার ফি সরকার নির্ধারিত ফি ই হবে”।

উপরিউক্ত দুটি হাসপাতালই করোনা ইউনিটের লোকবল সংযোজন নিয়ে একটু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানায় হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ।

©️দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এ এ পি

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *