করোনা : অবিলম্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দাবি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্রæত উদ্যেগ ও অবিলম্বে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল এক যুক্ত বিবৃতিতে সরকারের কাছে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত ও অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। বিশ্ব অর্থনীতিও গভীর সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে, সরকারের স্বীকৃতি অনুযায়ী একজন মারা গেছে। বর্তমানে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রæত সাতটি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
দাবিতে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখছি, যে সব দেশ আগাম উদ্যোগ নিয়েছে সে সব দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যথাসম্ভব কম হয়েছে। কাজেই সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদেরও দ্রæত আগাম পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে সংক্রমণ যে পর্যায়ে আছে তাতে আমরা যদি দ্রæত পদক্ষেপ নিতে পারি, আমাদের সংক্রমণ নিম্ন পর্যায়ে রাখতে পারবো। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি, অবিলম্বে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা দরকার।
‘আমরা অন্যান্য দেশে দেখেছি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে তারা সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এর সঙ্গে সরকারি কার্যক্রম বাদে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা দরকার। শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, জনসমাগম বন্ধ করে দেওয়া উচিত। নির্বাচন যেগুলো চলমান সেগুলো স্থগিত করতে হবে।’
আমরা মনে করি মানুষকে নিজ গৃহে থাকতে বলার নির্দেশনাটি ব্যাপকভাবে কার্যকর করা দরকার, কেননা নিজ গৃহে থাকলেই কেবলমাত্র সংক্রমণকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। সেটা বাস্তবায়ন করতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা (সেনাবাহিনী ও পুলিশ) বাহিনীকে পর্যাপ্ত মোতায়ন করতে পারলে আমরা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। এছাড়া আরো কিছু দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।