করোনায় রেকর্ড ২৪৭ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।
এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে।
এর আগে গত ১১ জুলাই দেশে করোনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯ জুলাই মৃত্যু হয় ২৩১ জনের। আর ২৫ জুলাই মৃত্যু হয় ২২৮ জনের।
সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ নয় হাজার ৯৭৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ ছয় হাজার ২৩৩টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৫ জন, বেসরকারি ৫৫ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে ২৬ জন মারা যান। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় একজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দু’জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন চার হাজার ৪৪৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৫৫০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৬৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৭ হাজার ৯৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।