করোনায় মৃত্যু ৫০ হাজারের মাইলফলকও ছাড়িয়ে গেলো যুক্তরাষ্ট্রে
করোনার আঘাতে কার্যত এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একটানা অনেকদিন ধরেই দেশটিতে এ ভাইরাসের প্রকোপ শীর্ষ পর্যায়ের দিকে আছে। প্রতিদিনই এখানে গড়ে করোনায় ২ থেকে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। চলমান মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে হতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। তবুও থামছে না বিশাল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি।
এরই মাঝে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই মৃত্যু কতো দূর গিয়ে ঠেকবে তা এখনও আঁচ করা যাচ্ছে না। মহামারির শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন করোনার মরণ ছোবলে যুক্তরাষ্ট্র যদি মানুষের প্রাণহানি ১ লাখের মধ্যে রাখতে পারে, তবে সেটাকে সফলতা হিসেবে অভিহিত করতে হবে। দিনে দিনে করোনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেশটি যেন সেদিকেই এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের বাকি দেশগুলো মার্কিন মুল্লুকের এই বিপুল মৃত্যুর পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক অনেক পেছনে। সবাইকে ছাড়িয়ে মৃত্যু আর হাহাকারের ভয়াল এক উপত্যকায় এক দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এসব তথ্য জানায়।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের বরাত দিয়ে আল জাজিরা আরও জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরও ৩ হাজার ৩৩২ জনের মৃত্যু হয়। তাতে করে সরকারি হিসেবে দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৯৬৩ জনে। তারপর থেকে সময়ের মধ্যে আরও বেশকিছু করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এ সংখ্যা এখন ৫০ হাজারের ভয়াবহ মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
খবরে বলা হয়, দেশটিতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের। সেরে উঠেছেন প্রায় ৮৬ হাজার। ১৫ হাজারের অবস্থা গুরুতর।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য মতে, সরকারি হিসেবে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনায় ১ লাখ ৯১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। এর মধ্যে সেরে উঠেছেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ।