November 23, 2024
আন্তর্জাতিককরোনা

করোনায় কাজ হারিয়েছে ১০০ কোটির বেশি মানুষ!

মহামারি করোনা শুধু জীবনই কেড়ে নিচ্ছে না, জীবিকায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সাল থেকে থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের চাকরি বা ব্যবসা হারিয়েছেন ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ

বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ওপর মহামারি করোনার প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্যালাপ একটি  জরিপে দেখেছে, এই দেড় বছরে বিশ্বে প্রতি তিনজনের একজন চাকরি বা ব্যবসা হারিয়েছেন। পুরো বিশ্বের প্রেক্ষাপটে তুলনা করলে এমন মানুষের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি।

বিশ্বের ১১৬টি দেশের মানুষের ওপর ‘স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ওয়ার্কপ্লেস ২০২১ ’-শীর্ষক এই সমীক্ষা চালিয়েছে গ্যালাপ। জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী কর্মীদের মধ্যে প্রতিদিনই উদ্বিগ্নতা, চাপ, ক্রোধ ও দুঃখবোধ বাড়ছে। ৪১ শতাংশ কর্মী জানান, আগের দিনে তারা অনেক উদ্বিগ্ন ছিলেন। ৪৩ শতাংশ জানান, আগের দিন ব্যাপক চাপে ছিলেন তারা। ২৪ শতাংশ জানান, তারা ক্রোধ অনুভব করেছেন। ২৫ শতাংশ অনুভব করেছেন দুঃখ।

গ্যালাপের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের কর্মীদের উদ্বেগ, মানসিক চাপ, ক্রোধ ও দুঃখবোধ আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে বেড়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় সর্বোচ্চ ৫৪ শতাংশ মানুষের জীবনে করোনার প্রভাব পড়েছে। এরপরই আছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। তাদের ৫০ শতাংশ মানুষের ওপর করোনার প্রভাব পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৪৯ শতাংশ মানুষের ওপর প্রভাব পড়েছে করোনার। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন ২২ শতাংশ মানুষের ওপর প্রভাব পড়েছে।

করোনার সময় সবচেয়ে বেশি কমেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষের আয়, ৬৭ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার ৫৫ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। এই হার সবচেয়ে কম পশ্চিম ইউরোপ। এখানকার ২৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের আয় কমেছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৬৬ শতাংশ বলেছেন, তারা সাময়িকভাবে কাজ থেকে ছিটকে পড়েছেন। ৫০ শতাংশ মানুষ বলছেন, করোনার কারণে তারা চাকরি হারিয়েছেন। সবচেয়ে কম চাকরি হারিয়েছেন ইউরোপের মানুষ, ৬ শতাংশ।

ওই জরিপে আরও দেখা গেছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা কর্মীর সংখ্যা ২ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা কর্মীর সংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ২০২০ সালে তা হয়েছে ২০ শতাংশ।

করোনার কারণে ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই জরিপ চালানো হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *