করোনার নতুন হটস্পট চট্টগ্রাম, নতুন আক্রান্ত ৫ জন
প্রতিদিনই চট্টগ্রামে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ১২ দিনে জেলায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে এখন ৩২ জন। বুধবার (১৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) নতুন ১০৯ নমুনা পরীক্ষায় আরও ৬ জনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৫ জনই চট্টগ্রামের।
রাত পৌনে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, বুধবার বিআইটিআইডিতে ১০৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন আরও ৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৫ জন চট্টগ্রামের।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরাফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে গতকাল নতুন পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। একদিন বিরতি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুইজনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনারোগী হিসেবে শনাক্ত হন তিনজন। ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে সে সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন করোনারোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের একজন শিশু ওইদিন দিবাগত রাতে জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। এছাড়া এদিন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যও করোনা আক্রান্ত হন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নারী করোনা শনাক্তের আগেই আইসোলশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। গতকাল সর্বোচ্চ ১১ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এক চিকিৎসক, সাতকানিয়ার পাঁচ যুবক ও নগরে সাগরিকা এলাকার এক পরিবারের চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, এক বৃদ্ধ ও এক নারীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আইসোলশনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। মৃত্যুর পর তাদের তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। একজনের ফলাফল জানা যায়নি।