করোনার উৎপত্তি: ডব্লিউএইচও’র তদন্ত আবেদন নাকচ করলো চীন
চীন থেকেই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি—এই তত্ত্ব ঘিরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দ্বিতীয় দফার তদন্ত প্রস্তাবের আবেদন শুক্রবার (২৩ জুলাই) নাকচ করে দিয়েছে চীন। মহামারির শুরু থেকেই করোনার উৎপত্তি স্থল হিসেবে চীনের দিকেই আঙুল তুলে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর একাংশ।
দাবি করা হচ্ছে চীনের উহানের এক গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এই নিয়ে প্রথম দফার তদন্ত শেষ করেছে ডব্লিউএইচও। চলতি মাসে দ্বিতীয় দফার তদন্তের প্রস্তাব পাঠানো হয় চীনের কাছে। যেখানে স্বচ্ছতার প্রশ্নে উহান শহরের গবেষণাগার এবং বাজারগুলি অডিট করার পরিকল্পনা ছিল ডব্লিউএইচওর।
চীনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশনের উপমন্ত্রী জ়েং ইক্সিন বলেন, এ ধরনের পরিকল্পনা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি কাণ্ডজ্ঞানহীন তো বটেই, বিজ্ঞানবিরোধীও।
চীনের গবেষণাগারে নিয়ম লঙ্ঘনের জেরেই করোনাভাইরাস ‘লিক’ হয়েছে এবং বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে— ডব্লিউএইচওর প্রস্তাবিত তদন্ত-পরিকল্পনার তালিকায় এই অনুমান দেখে অবাক হয়ে গেছেন বলে জানান উপমন্ত্রী জ়েং ইক্সিন।
জুলাইয়ের গোড়ায় ডব্লিউএইচও প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছিলেন, চীনেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি কিনা, সেই সংক্রান্ত গবেষণায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার গোড়ার সময়ের পরিসংখ্যান না পাওয়ায় একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে জ়েং ইক্সিন বলেন, নিরাপত্তার কারণে সব পরিসংখ্যান প্রকাশ করা যায় না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ডব্লিউএইচওর উচিত চীনের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দূরে সরিয়ে বিজ্ঞানের নিরিখেই এর বিচার করা।
এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্ব গতির মধ্যেও দেশবাসীর জন্য পর্যাপ্ত টিকার জোগান না করতে পারায় প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বছরের গোড়াতে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই পর্যায়ে আমরা পৌঁছাতে পারিনি। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
দেশ জুড়ে দৈনিক দেড় লক্ষের কম মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়।
করোনা সংক্রমেণের চতুর্থ ঢেউয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ফ্রান্স। এর মাঝে জারি করা ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ পদ্ধতি ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে সে দেশের প্রশাসন। সেই নিয়ম অনুযায়ী, সিনেমা হল, জাদুঘর এবং ময়দানে যেতে হলে কোভিড-১৯ টিকার সম্পূর্ণ ডোজ়ের প্রশংসাপত্র বা নেগেটিভ পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে। ৫০ জনের বেশি জমায়েতের ক্ষেত্রেও বলবৎ থাকবে নিয়মটি।
ফ্রান্স প্রশাসনের দাবি, যাদের এখনও টিকাকরণ হয়নি, তারাই বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই এই কড়াকড়ি। যা ঘিরেই শুরু বিতর্ক। শনিবার থেকে আইফেল টাওয়ারসহ দেশের একাধিক জনপ্রিয় স্থানে এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে ২১ হাজার জন নতুন সংক্রমিতের তথ্য মিলেছে।