করোনামুক্ত ১০০ দিনের মাইলফলকে নিউজিল্যান্ড
মহামারি মোকাবিলায় সফল নিউজিল্যান্ডে গত ১০০ দিনে কমিউনিটি পর্যায়ে করোনাভাইরাসের নতুন কোনও সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। তারপরও দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনার সক্রিয় রোগী রোগী আছেন মোট ২৩ জন। দেশটিতে প্রবেশের পর তাদের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বিদেশফেরত এই সংক্রমিতদের সরকারি আইসোলেশন স্থাপনায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে
দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড বলেছেন, কমিউনিটিতে করোনার সংক্রমণ ছাড়াই শততম দিনে পৌঁছানো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তবে আমরা সবাই জানি, এটি নিয়ে আমরা আত্মতৃপ্ত হতে পারি না।
তিনি বলেন, আগে যেসব স্থানে নিয়ন্ত্রণে ছিল সেসব জায়গায় ভাইরাসটি কতদ্রুত পুনরায় উত্থান ও বিস্তার ঘটাতে পারে তা আমরা বাইরের দেশগুলোতে দেখেছি। নিউজিল্যান্ডে ভবিষ্যতে যে কোনও একটি ঘটনাও দ্রুত মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রথম রোগী পাওয়ার কিছুদিন পর ১৭ মার্চ সীমান্ত বন্ধ করে করোনাভাইরাস কার্যকরভাবে মোকাবিলা করায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয় ৫০ লাখ মানুষের দেশ নিউজিল্যান্ড। কমিউনিটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সফলভাবে মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য নিউজিল্যান্ড অনুকরণীয় উদাহরণ হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশংসা করে।
দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী পাওয়া যায় গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে মাত্র এক হাজার ২১৯ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে সর্বশেষ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রেকর্ড করা হয়েছিল গত ১ মে।
এর ফলে নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দারা সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই মহামারি পূর্ব প্রায়-স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন। দেশটিতে বর্তমানে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শকরা অংশ নিতে পারেন। তবে সীমান্তের কড়াকড়ি এখনও কার্যকর আছে; বিদেশ ফেরত সকলকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়।
দেশটির সরকার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলছে নাগরিকদের। এ জন্য প্রত্যেকের বাড়িতে জরুরি কিটস, মাস্কসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার।