December 22, 2024
আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস: সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত দুই বাংলাদেশি সুস্থ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

সিঙ্গাপুরে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই বাংলাদেশি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। তবে চীনের বাইরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে এখন আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

গতকাল শনিবার করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমাদের জন্য একটি আনন্দের বিষয় যে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজন বাংলাশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

এর আগেরদিন আগেরজন বাড়ি ফিরেছিল। যার অবস্থা জটিল ছিল, তিনি অপরিবর্তনীয় অবস্থায় রয়েছেন। আর বাকীরা স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। তারা যে কোনো সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন। বিশ্বব্যাপি নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সিঙ্গাপুরে পাঁচজন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে একজন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনসহ এ পর্যন্ত মোট ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারও মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানান ডা. ফ্লোরা। তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা স্ক্রিনিং কার্যক্রমটা একইভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি জানান, চীনসহ বর্তমানে ৫২টি দেশ ও অঞ্চলে কফিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে। নতুন দেশগুলো হল- বেলারুশ, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড ও নাইজেরিয়া। আক্রান্ত অনেক দেশে বাংলাদেশের যাতায়াত থাকায় অত্যাবশ্যক না হলে সেসব দেশে ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর।

ডা. ফ্লোরা বলেন, আক্রান্ত দেশ থেকে কোনো প্রকল্পের জন্য যদি আসার থাকে, সেটাও আমরা নিরুৎসাহিত করছি। সভা সমাবেশ বা মিটিংয়ে যদি আক্রান্ত দেশ থেকে কোনো অংশগ্রহণকারী আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেই সভা-সেমিনারগুলো স্থগিত করে পরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলছি আমরা।

এক্ষেত্রে কারও কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে সঠিক পরামর্শ দিতে পারব তাদের। এখন চীনের বাইরে অন্যান্য দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আরও বেশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফ্লোরা। ইরান, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বলে জানান তিনি।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আমরা সবসময়ই পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। যে সব দেশে রোগীর সংখ্যা বেশি, লোকাল ট্রান্সমিশন আছে, মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে, আরও কী করা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, বিভিন্ন বিশ্লেষণগুলো থেকে আমরা দেখেছি, শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্করা করোনাভাইরাসে মারা গেছেন, আর ৭৫ ভাগেরই আগের থেকে কোনো রোগ ছিল।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *